আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): যদিও ইথিওপিয়া ঐতিহাসিকভাবে একটি খ্রিস্টান দেশ হিসেবে পরিচিত, এর জনসংখ্যাগত বাস্তবতা আরও জটিল এবং বৈচিত্র্যময়।
যদিও দেশটির সরকারী পরিসংখ্যান - ২০০৭ সালের আদমশুমারি সহ - মুসলিম জনসংখ্যার প্রায় ৩৩ শতাংশ বলে মনে করে, অনেক ইসলামী ধর্মগুরু এবং কর্মী বিশ্বাস করেন যে এই সংখ্যাটি একটি অবমূল্যায়ন, কারণ রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক কারণগুলি আদমশুমারি প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছিল।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদন অনুসারে, ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একটি আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে ধর্মীয় বৈচিত্র্যকে গ্রহণ করার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন এবং গত শতাব্দী ধরে ইথিওপিয়ার জনজীবনে দেশটির মুসলমানদের ভূমিকা ও প্রভাব সম্পর্কে কথা বলেছেন।

এই বিবৃতিগুলি ইথিওপীয় সরকারের বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীকে কাছাকাছি আনার প্রচেষ্টার কাঠামোর মধ্যে এসেছে, যার মধ্যে রয়েছে "ইথিওপীয় ইসলামিক সুপ্রিম কাউন্সিল" গঠন, যা সরকার এবং মুসলমানদের মধ্যে বছরের পর বছর ধরে চলমান উত্তেজনার অবসান ঘটানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল।
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, ইথিওপিয়ার ইসলামী ধর্মগুরুরা মুসলিম ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের মেরুদণ্ড হয়ে আছেন।
রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চাপ সত্ত্বেও, তারা সাম্রাজ্যের যুগ থেকে আধুনিক রাষ্ট্রে বিশ্বাস সংরক্ষণ, ধর্ম শিক্ষা এবং জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

ইথিওপিয়ার ইসলামী ধর্মগুরুরা কেবল প্রচারক বা আইনবিদ ছিলেন না; তারা ছিলেন বুদ্ধিজীবী এবং সামাজিক নেতা যারা ধর্মকে মানুষের জীবনে একীভূত করেছিলেন। ইতিহাস জুড়ে, তারা জ্ঞান এবং সহনশীলতার সাথে চাপের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন এবং সমাজে বিশ্বাস, জ্ঞান এবং সহাবস্থানের মূল্যবোধকে দৃঢ়ভাবে গেঁথে রেখেছেন।

আজ, এই বৈজ্ঞানিক ও ধর্মীয় নেটওয়ার্ক ইথিওপিয়ায় ইসলামী পরিচয়ের গ্যারান্টার হিসেবে স্বীকৃত, ধর্মীয় জ্ঞান উৎপাদন এবং সামাজিক সংহতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
আবিসিনিয়ার ভূমিতে, যেখানে সভ্যতাগুলি একে অপরের সাথে জড়িত, সেখানে ইসলামের শিখা ধর্মগুরুদের হৃদয়ে জ্বলতে থাকে, ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে জ্ঞান ও মর্যাদার বার্তা প্রেরণ করে।
Your Comment